০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

কৃষি খাতে “অ্যাকুয়াকালচার” পেশায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য Competency Standards (CS) অনুযায়ী লেভেল-৩ প্রশিক্ষণ

মিজান আল রশিদ
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের কৃষি খাতে বৈচিত্র্য ও সম্ভাবনার অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো অ্যাকুয়াকালচার বা মৎস্য চাষ। দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মাছ উৎপাদন বড় অবদান রাখছে। এ খাতকে আরও শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) Competency Standards (CS) অনুযায়ী “Aquaculture Occupation”-এর Level-3 প্রশিক্ষণ চালু করেছে।

কী শেখানো হবে লেভেল-৩ এ

লেভেল-৩ মূলত দক্ষ কর্মী বা Skilled Worker তৈরির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই স্তরের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা —

  • আধুনিক ও টেকসই মাছ চাষ পদ্ধতি

  • পুকুর প্রস্তুতি, পানি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা

  • উপযুক্ত প্রজাতি নির্বাচন ও মিশ্র চাষ কৌশল

  • রোগ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

  • উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

  • পরিবেশবান্ধব অ্যাকুয়াকালচার প্রক্রিয়া
    এসব বিষয়ে হাতে-কলমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে।

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। লেভেল-৩ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন প্রশিক্ষণার্থী স্থানীয় পর্যায়ে শুধু উদ্যোক্তা হিসেবেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কর্মী হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে।

কারা অংশ নিতে পারবে

  • ন্যূনতম মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন ব্যক্তিরা

  • যারা ইতিমধ্যেই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত কিন্তু দক্ষতা বাড়াতে চান

  • নতুন উদ্যোক্তা যারা পেশাগতভাবে অ্যাকুয়াকালচার শুরু করতে চান

প্রত্যাশিত ফলাফল

এই লেভেল-৩ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর একজন কর্মী —

  • স্বতন্ত্রভাবে পুকুর বা ফিশ ফার্ম পরিচালনা করতে পারবে

  • আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে

  • সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের রোগ কমাবে এবং গুণগত মান বজায় রাখবে

  • স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

🔹 কৃষি খাতের অন্যান্য শাখার মতো অ্যাকুয়াকালচারকেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে এই ধরনের Competency Standards ভিত্তিক প্রশিক্ষণই আগামী দিনের প্রধান হাতিয়ার হতে যাচ্ছে।

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর Aquaculture লেভেল- CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজকমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট ও গ্রুপ থেকে।

আমার আশেপাশের সেরা রেস্টুরেন্ট

ট্যাগস :

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিজান আল রশিদ

আসসালামু আলাইকুম আমি মিজান আল রশিদ একজন সার্টিফাইড একুয়াকালচার প্রশিক্ষক ও এসেসর। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) কর্তৃক, স্কিল লেভেল-৩ সম্পন্ন করেছি। bdskills.org স্কিলস কন্টেন্ট প্লাটফরমে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য একুয়াকালচার স্কিল লেভেল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবো।
Exit mobile version

কৃষি খাতে “অ্যাকুয়াকালচার” পেশায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য Competency Standards (CS) অনুযায়ী লেভেল-৩ প্রশিক্ষণ

আপডেট সময় ০৯:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের কৃষি খাতে বৈচিত্র্য ও সম্ভাবনার অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো অ্যাকুয়াকালচার বা মৎস্য চাষ। দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মাছ উৎপাদন বড় অবদান রাখছে। এ খাতকে আরও শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) Competency Standards (CS) অনুযায়ী “Aquaculture Occupation”-এর Level-3 প্রশিক্ষণ চালু করেছে।

কী শেখানো হবে লেভেল-৩ এ

লেভেল-৩ মূলত দক্ষ কর্মী বা Skilled Worker তৈরির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই স্তরের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা —

  • আধুনিক ও টেকসই মাছ চাষ পদ্ধতি

  • পুকুর প্রস্তুতি, পানি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা

  • উপযুক্ত প্রজাতি নির্বাচন ও মিশ্র চাষ কৌশল

  • রোগ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

  • উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

  • পরিবেশবান্ধব অ্যাকুয়াকালচার প্রক্রিয়া
    এসব বিষয়ে হাতে-কলমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে।

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। লেভেল-৩ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন প্রশিক্ষণার্থী স্থানীয় পর্যায়ে শুধু উদ্যোক্তা হিসেবেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কর্মী হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে।

কারা অংশ নিতে পারবে

  • ন্যূনতম মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন ব্যক্তিরা

  • যারা ইতিমধ্যেই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত কিন্তু দক্ষতা বাড়াতে চান

  • নতুন উদ্যোক্তা যারা পেশাগতভাবে অ্যাকুয়াকালচার শুরু করতে চান

প্রত্যাশিত ফলাফল

এই লেভেল-৩ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর একজন কর্মী —

  • স্বতন্ত্রভাবে পুকুর বা ফিশ ফার্ম পরিচালনা করতে পারবে

  • আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে

  • সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের রোগ কমাবে এবং গুণগত মান বজায় রাখবে

  • স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

🔹 কৃষি খাতের অন্যান্য শাখার মতো অ্যাকুয়াকালচারকেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে এই ধরনের Competency Standards ভিত্তিক প্রশিক্ষণই আগামী দিনের প্রধান হাতিয়ার হতে যাচ্ছে।

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর Aquaculture লেভেল- CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজকমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট ও গ্রুপ থেকে।

আমার আশেপাশের সেরা রেস্টুরেন্ট