০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Kishoreganj Technical Training Centre, KTTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ১১:১৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: দক্ষতা উন্নয়নে একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (কিশোরগঞ্জ টিটিসি) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করে। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বর্তমানে দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ টিটিসি কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তরুণদের আধুনিক কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে তুলছে, যা কেবল দেশীয় কর্মবাজার নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করছে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মূলত বাংলাদেশের যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থান বা প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবনে সফল করতে। এটি ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ টিটিসি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞান প্রদান করা, যা তাদেরকে কাজের ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম করবে।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা

কিশোরগঞ্জ টিটিসির অবকাঠামো অত্যন্ত উন্নত এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম ও সুবিধা রয়েছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ ল্যাব, ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব এবং লাইব্রেরি। এসব সুবিধা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ছাত্রাবাস সুবিধা রয়েছে, যা দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্যন্ত উন্নত এবং প্রশিক্ষণার্থীদের তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষকদের বেশিরভাগই অভিজ্ঞ এবং কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা।

কোর্সসমূহ

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি কোর্স চালু রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।এসব কোর্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং: কিশোরগঞ্জ টিটিসিতে ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করা হয়। এটি একটি চার বছরের কোর্স, যা শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রাথমিক থেকে উচ্চতর জ্ঞান প্রদান করে।

2. শর্ট কোর্স: দীর্ঘমেয়াদী কোর্স ছাড়াও, এখানে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী কোর্স রয়েছে, যেমন ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েল্ডিং, মেশিন অপারেশন এবং গার্মেন্টস মেশিন অপারেটর। এসব কোর্স কয়েক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেয়।

3. ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি): বর্তমান সময়ে আইসিটি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিশোরগঞ্জ টিটিসি বিভিন্ন আইটি কোর্স যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং এবং ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট-এর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন-  টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত

কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনী দক্ষতা

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে সহজেই কাজ পেয়ে থাকে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশে কাজের সুযোগ পায়। এ ছাড়াও, দেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ শিল্প, গার্মেন্টস সেক্টর এবং আইটি সেক্টরে তারা সাফল্যের সাথে কাজ করছে।

উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কিশোরগঞ্জ টিটিসির অবদান অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কাজ করছে, যেমন ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তোলা, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

 আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

শোরগঞ্জ টিটিসি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যেমন আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা), জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি), এবং ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) এর সাথে যৌথভাবে কাজ করে প্রশিক্ষণ মান উন্নয়নে কাজ করছে। এসব সংস্থার সহায়তায় শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে গড়ে তুলছে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

যদিও কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি অনেক সাফল্য অর্জন করেছে, তবে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা আপডেট করা। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রটি আরও উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিক্ষার্থীদের আরও প্রতিযোগিতামূলক কর্মজীবনে প্রবেশে সহায়ক হবে।

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের যুবসমাজকে দক্ষ ও কর্মক্ষম জনশক্তিতে রূপান্তর করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি তরুণদের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষার পথ নয়, বরং আত্মনির্ভরশীল ও সফল কর্মজীবন গড়ার পথও সুগম করছে। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

➤  কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Kishoreganj Technical Training Centre, KTTC)

আপডেট সময় ১১:১৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: দক্ষতা উন্নয়নে একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (কিশোরগঞ্জ টিটিসি) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কাজ করে। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বর্তমানে দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ টিটিসি কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তরুণদের আধুনিক কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে তুলছে, যা কেবল দেশীয় কর্মবাজার নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করছে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মূলত বাংলাদেশের যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থান বা প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবনে সফল করতে। এটি ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ টিটিসি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞান প্রদান করা, যা তাদেরকে কাজের ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম করবে।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা

কিশোরগঞ্জ টিটিসির অবকাঠামো অত্যন্ত উন্নত এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম ও সুবিধা রয়েছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ ল্যাব, ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব এবং লাইব্রেরি। এসব সুবিধা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ছাত্রাবাস সুবিধা রয়েছে, যা দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্যন্ত উন্নত এবং প্রশিক্ষণার্থীদের তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষকদের বেশিরভাগই অভিজ্ঞ এবং কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা।

কোর্সসমূহ

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি কোর্স চালু রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।এসব কোর্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং: কিশোরগঞ্জ টিটিসিতে ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করা হয়। এটি একটি চার বছরের কোর্স, যা শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রাথমিক থেকে উচ্চতর জ্ঞান প্রদান করে।

2. শর্ট কোর্স: দীর্ঘমেয়াদী কোর্স ছাড়াও, এখানে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী কোর্স রয়েছে, যেমন ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েল্ডিং, মেশিন অপারেশন এবং গার্মেন্টস মেশিন অপারেটর। এসব কোর্স কয়েক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেয়।

3. ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি): বর্তমান সময়ে আইসিটি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিশোরগঞ্জ টিটিসি বিভিন্ন আইটি কোর্স যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং এবং ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট-এর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন-  টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত

কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনী দক্ষতা

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে সহজেই কাজ পেয়ে থাকে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশে কাজের সুযোগ পায়। এ ছাড়াও, দেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ শিল্প, গার্মেন্টস সেক্টর এবং আইটি সেক্টরে তারা সাফল্যের সাথে কাজ করছে।

উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কিশোরগঞ্জ টিটিসির অবদান অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কাজ করছে, যেমন ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তোলা, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

 আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

শোরগঞ্জ টিটিসি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যেমন আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা), জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি), এবং ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) এর সাথে যৌথভাবে কাজ করে প্রশিক্ষণ মান উন্নয়নে কাজ করছে। এসব সংস্থার সহায়তায় শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে গড়ে তুলছে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

যদিও কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি অনেক সাফল্য অর্জন করেছে, তবে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা আপডেট করা। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রটি আরও উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিক্ষার্থীদের আরও প্রতিযোগিতামূলক কর্মজীবনে প্রবেশে সহায়ক হবে।

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের যুবসমাজকে দক্ষ ও কর্মক্ষম জনশক্তিতে রূপান্তর করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি তরুণদের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষার পথ নয়, বরং আত্মনির্ভরশীল ও সফল কর্মজীবন গড়ার পথও সুগম করছে। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

➤  কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন