০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

কনক ফেরদৌসী
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। খাদ্য সুরক্ষা আইন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল জনগণের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। খাদ্য নিরাপত্তা কেবলমাত্র খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই নয়, বরং খাদ্যের গুণমান, নিরাপত্তা ও পুষ্টিগুণের দিকে নজর দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত।

খাদ্য সুরক্ষা আইন

বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩ সালে প্রণীত হয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বিতরণ এবং বিক্রয় নিশ্চিত করা। খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, খাদ্য প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতাদের জন্য কিছু মৌলিক দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং সঠিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণের নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।

এই আইনে খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা পরীক্ষা, উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্য পণ্যের লেবেলিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্য প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্যের নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে বাধ্য।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা মানদণ্ড প্রতিষ্ঠায় ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিশেষ ভূমিকা পালন করে। Codex Alimentarius Commission (CAC) এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক মান তৈরি করে। এই মানগুলি খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

Codex Alimentarius খাদ্য নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে, যেমন খাদ্যের নিরাপত্তা, পুষ্টি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ, এবং খাদ্য দূষণের প্রতিকার। এই মানদণ্ডগুলি বিভিন্ন দেশের সরকারের জন্য একটি নীতিগত গাইড হিসেবে কাজ করে, যা খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সহায়ক।

খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য

খাদ্য নিরাপত্তা জনস্বাস্থ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। নিরাপদ খাদ্য না খাওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে খাদ্যবাহিত রোগ, অ্যালার্জি এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণের পর্যায় পর্যন্ত সব পর্যায়ে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার পর থেকে খাদ্য উৎপাদনে গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশেষ করে দেশের কৃষি খাতে প্রযুক্তির অভাব, পরিবহন ও সংরক্ষণের অসুবিধা এবং সঠিক আইন বাস্তবায়নের অভাব খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, FAO এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে। এই প্রকল্পগুলি সাধারণত কৃষকদের প্রশিক্ষণ, নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে সহায়ক হয়।

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুণগত মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, এই আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণও জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলি খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য।

এভাবেই খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজের স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নয়নে অবদান রাখবে।

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর Food Quality Control Level-৩ CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি  এর ফেসবুক পেজ,  কমিউনিটি গ্রুপ  অথবা  ওয়েবসাইট ও  গ্রুপ  থেকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ?

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কনক ফেরদৌসী

আসসালামুয়ালাইকুম আমি কনক ফেরদৌস। একজন ফুড এন্ড নিউট্রেশন এক্সপার্ট। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB) ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) কর্তৃক, স্কিল লেভেল সম্পন্ন করেছি। bdskills.org স্কিলস কন্টেন্ট প্লাটফরমে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুড এন্ড ব্যাভারেজ প্রডাকশন, সার্ভিস, প্রসেসিং এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। খাদ্য সুরক্ষা আইন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল জনগণের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। খাদ্য নিরাপত্তা কেবলমাত্র খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই নয়, বরং খাদ্যের গুণমান, নিরাপত্তা ও পুষ্টিগুণের দিকে নজর দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত।

খাদ্য সুরক্ষা আইন

বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩ সালে প্রণীত হয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বিতরণ এবং বিক্রয় নিশ্চিত করা। খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, খাদ্য প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতাদের জন্য কিছু মৌলিক দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং সঠিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণের নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।

এই আইনে খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা পরীক্ষা, উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্য পণ্যের লেবেলিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্য প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্যের নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে বাধ্য।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা মানদণ্ড প্রতিষ্ঠায় ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিশেষ ভূমিকা পালন করে। Codex Alimentarius Commission (CAC) এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক মান তৈরি করে। এই মানগুলি খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

Codex Alimentarius খাদ্য নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে, যেমন খাদ্যের নিরাপত্তা, পুষ্টি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ, এবং খাদ্য দূষণের প্রতিকার। এই মানদণ্ডগুলি বিভিন্ন দেশের সরকারের জন্য একটি নীতিগত গাইড হিসেবে কাজ করে, যা খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সহায়ক।

খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য

খাদ্য নিরাপত্তা জনস্বাস্থ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। নিরাপদ খাদ্য না খাওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে খাদ্যবাহিত রোগ, অ্যালার্জি এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণের পর্যায় পর্যন্ত সব পর্যায়ে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার পর থেকে খাদ্য উৎপাদনে গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশেষ করে দেশের কৃষি খাতে প্রযুক্তির অভাব, পরিবহন ও সংরক্ষণের অসুবিধা এবং সঠিক আইন বাস্তবায়নের অভাব খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, FAO এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে। এই প্রকল্পগুলি সাধারণত কৃষকদের প্রশিক্ষণ, নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে সহায়ক হয়।

খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। বাংলাদেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুণগত মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, এই আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণও জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলি খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য।

এভাবেই খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজের স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নয়নে অবদান রাখবে।

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর Food Quality Control Level-৩ CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি  এর ফেসবুক পেজ,  কমিউনিটি গ্রুপ  অথবা  ওয়েবসাইট ও  গ্রুপ  থেকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ?