১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩

মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লা
  • আপডেট সময় ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৪০ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল- হচ্ছে একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, যা চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ মূলত দক্ষতা, নিরাপত্তা, এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই কোর্সের মাধ্যমে একজন চালক শুধু গাড়ি চালানোই নয়, বরং সঠিকভাবে গাড়ির যত্ন নেওয়া, মেরামত করা, এবং রাস্তায় নিরাপত্তা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মকানুনও শিখে থাকে।

 ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ এর উদ্দেশ্য:

এই কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষ চালক তৈরি করা, যারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং পদ্ধতি অনুসরণ করে, প্রশিক্ষণার্থীরা আধুনিক ড্রাইভিং প্রযুক্তি, রোড সাইন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর নিয়মাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। এটি শুধুমাত্র দেশীয় বাজারেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

 কোর্সের কাঠামো:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ একটি সুনির্দিষ্ট কোর্স, যা মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত: থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল। থিওরি অংশে চালকদের যানবাহনের কাঠামো, ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী, এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্র্যাকটিক্যাল অংশে বাস্তব চালনার অভিজ্ঞতা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানোর সুযোগ পায়, যাতে তাদের সক্ষমতা আরও বিকশিত হয়।

 থিওরি প্রশিক্ষণ:

  • – যানবাহনের কাঠামো এবং যন্ত্রাংশের জ্ঞান: একজন চালককে অবশ্যই তার চালিত যানবাহনের মেকানিক্যাল অংশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী, ট্রান্সমিশন সিস্টেম, ব্রেকিং সিস্টেম, এবং সাসপেনশন সিস্টেম ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

 

  • – সড়ক পরিবহন আইন এবং নিয়মাবলী: সড়কে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সঠিক নিয়মাবলী জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণার্থীদের সড়ক সাইন এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে গাড়ি পরিচালনা, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া শেখানো হয়।

 

 প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ:

নিরাপদ ড্রাইভিং পদ্ধতি: প্রশিক্ষণার্থীরা রাস্তা এবং ট্রাফিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সঠিক গতি নিয়ন্ত্রণ, ব্রেকিং কৌশল, এবং রাস্তার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শেখে। এই কোর্সে প্রশিক্ষণার্থীরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য নানা কৌশল এবং পরিকল্পনা শিখে থাকে।

 

– অ্যাডভান্সড ড্রাইভিং টেকনিক: একটি আধুনিক প্রেক্ষাপটে চালকদের শুধু সাধারণ গাড়ি চালানো শিখলেই চলবে না, বরং তাদের বিভিন্ন অগ্রসর প্রযুক্তি ও যানবাহনের উন্নত ব্যবস্থাপনাও জানতে হবে। যেমন- ইকো ড্রাইভিং (জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য ড্রাইভিং), ভারী যানবাহন পরিচালনা, এবং বিভিন্ন সড়ক পরিস্থিতিতে অ্যাডাপ্ট করা।

 

 যোগ্যতা এবং সুযোগ:

এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য সাধারণত ন্যূনতম মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীদের একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক।

 

– সার্টিফিকেশন: এই কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীদের একটি জাতীয় স্বীকৃত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা আন্তর্জাতিক মানের। এটি গ্লোবাল মার্কেটে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

– কর্মসংস্থানের সুযোগ: এই কোর্স সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানোর যোগ্যতা অর্জন করে। যেমন- ব্যক্তিগত গাড়ি, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, কমার্শিয়াল ট্রাক, এবং অন্যান্য পরিবহন সেক্টরে তারা কাজ করতে সক্ষম হয়।

 

 চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি দক্ষ চালকদের তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যেমন প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, সঠিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, এবং রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব।

 

তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, যেমন- সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ট্রাফিক নিয়মাবলী কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা শুধুমাত্র দেশে নয়, বৈশ্বিক বাজারেও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে।

 

প্রযুক্তির ব্যবহার:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ প্রশিক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা আরও উন্নত করে। গাড়ির মেকানিক্যাল ডায়াগনস্টিক টুলস, জিপিএস সিস্টেম, এবং সড়ক সুরক্ষা বিষয়ক প্রযুক্তির সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি ভবিষ্যতপ্রস্তুত পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয়।

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনা:

বাংলাদেশের সরকার দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি সেই লক্ষ্য পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে, সরকার আরও আধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কোর্সটিকে আরও উন্নত এবং কর্মমুখী করে তুলতে পারে।

 

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি দেশের পরিবহন খাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই কোর্সের মাধ্যমে একজন চালক শুধু যানবাহন চালনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন না, বরং আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কেও ভালোভাবে সচেতন হন।

 

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি  এর ফেসবুক পেজ,  কমিউনিটি গ্রুপ  অথবা  ওয়েবসাইট ও  গ্রুপ  থেকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ?

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লা

আসসালামুয়ালাইকুম আমি মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লা । একজন ড্রাইভিং প্রশিক্ষক ও এসেসর। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) কর্তৃক, স্কিল লেভেল-৩ সম্পন্ন করেছি। bdskills.org স্কিলস কন্টেন্ট প্লাটফরমে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং লেভেল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল- হচ্ছে একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, যা চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ মূলত দক্ষতা, নিরাপত্তা, এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই কোর্সের মাধ্যমে একজন চালক শুধু গাড়ি চালানোই নয়, বরং সঠিকভাবে গাড়ির যত্ন নেওয়া, মেরামত করা, এবং রাস্তায় নিরাপত্তা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মকানুনও শিখে থাকে।

 ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ এর উদ্দেশ্য:

এই কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষ চালক তৈরি করা, যারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং পদ্ধতি অনুসরণ করে, প্রশিক্ষণার্থীরা আধুনিক ড্রাইভিং প্রযুক্তি, রোড সাইন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর নিয়মাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। এটি শুধুমাত্র দেশীয় বাজারেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

 কোর্সের কাঠামো:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ একটি সুনির্দিষ্ট কোর্স, যা মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত: থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল। থিওরি অংশে চালকদের যানবাহনের কাঠামো, ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী, এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্র্যাকটিক্যাল অংশে বাস্তব চালনার অভিজ্ঞতা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানোর সুযোগ পায়, যাতে তাদের সক্ষমতা আরও বিকশিত হয়।

 থিওরি প্রশিক্ষণ:

  • – যানবাহনের কাঠামো এবং যন্ত্রাংশের জ্ঞান: একজন চালককে অবশ্যই তার চালিত যানবাহনের মেকানিক্যাল অংশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী, ট্রান্সমিশন সিস্টেম, ব্রেকিং সিস্টেম, এবং সাসপেনশন সিস্টেম ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

 

  • – সড়ক পরিবহন আইন এবং নিয়মাবলী: সড়কে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সঠিক নিয়মাবলী জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণার্থীদের সড়ক সাইন এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে গাড়ি পরিচালনা, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া শেখানো হয়।

 

 প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ:

নিরাপদ ড্রাইভিং পদ্ধতি: প্রশিক্ষণার্থীরা রাস্তা এবং ট্রাফিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সঠিক গতি নিয়ন্ত্রণ, ব্রেকিং কৌশল, এবং রাস্তার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শেখে। এই কোর্সে প্রশিক্ষণার্থীরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য নানা কৌশল এবং পরিকল্পনা শিখে থাকে।

 

– অ্যাডভান্সড ড্রাইভিং টেকনিক: একটি আধুনিক প্রেক্ষাপটে চালকদের শুধু সাধারণ গাড়ি চালানো শিখলেই চলবে না, বরং তাদের বিভিন্ন অগ্রসর প্রযুক্তি ও যানবাহনের উন্নত ব্যবস্থাপনাও জানতে হবে। যেমন- ইকো ড্রাইভিং (জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য ড্রাইভিং), ভারী যানবাহন পরিচালনা, এবং বিভিন্ন সড়ক পরিস্থিতিতে অ্যাডাপ্ট করা।

 

 যোগ্যতা এবং সুযোগ:

এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য সাধারণত ন্যূনতম মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীদের একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক।

 

– সার্টিফিকেশন: এই কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীদের একটি জাতীয় স্বীকৃত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা আন্তর্জাতিক মানের। এটি গ্লোবাল মার্কেটে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

– কর্মসংস্থানের সুযোগ: এই কোর্স সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানোর যোগ্যতা অর্জন করে। যেমন- ব্যক্তিগত গাড়ি, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, কমার্শিয়াল ট্রাক, এবং অন্যান্য পরিবহন সেক্টরে তারা কাজ করতে সক্ষম হয়।

 

 চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি দক্ষ চালকদের তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যেমন প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, সঠিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, এবং রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব।

 

তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, যেমন- সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ট্রাফিক নিয়মাবলী কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা শুধুমাত্র দেশে নয়, বৈশ্বিক বাজারেও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে।

 

প্রযুক্তির ব্যবহার:

ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ প্রশিক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা আরও উন্নত করে। গাড়ির মেকানিক্যাল ডায়াগনস্টিক টুলস, জিপিএস সিস্টেম, এবং সড়ক সুরক্ষা বিষয়ক প্রযুক্তির সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি ভবিষ্যতপ্রস্তুত পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয়।

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনা:

বাংলাদেশের সরকার দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি সেই লক্ষ্য পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে, সরকার আরও আধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কোর্সটিকে আরও উন্নত এবং কর্মমুখী করে তুলতে পারে।

 

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ কোর্সটি দেশের পরিবহন খাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই কোর্সের মাধ্যমে একজন চালক শুধু যানবাহন চালনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন না, বরং আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কেও ভালোভাবে সচেতন হন।

 

➤  জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর ড্রাইভিং স্কিল লেভেল-৩ CS ডাউনলোড এর জন্য ভিজিট  করতে – ক্লিক করুন

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি  এর ফেসবুক পেজ,  কমিউনিটি গ্রুপ  অথবা  ওয়েবসাইট ও  গ্রুপ  থেকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ?