০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhalokathi Technical Training Center, JTTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ০১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৭ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Jhalokathi), বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং টেকনিক্যাল শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে শিল্প, কারখানা ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী সরবরাহের লক্ষ্যে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (Technical and Vocational Education and Training – TVET) ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও ইতিহাস:
ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন শহর। এখানকার মানুষজনের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্যণীয়। এ প্রেক্ষাপটে ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলের তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝালকাঠি জেলার তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন অপরিহার্য ছিল এবং এই চিন্তাভাবনা থেকেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়।

প্রদত্ত কোর্সসমূহ:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বিভিন্ন প্রকারের প্রযুক্তিগত এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ, অটোমোবাইল মেরামত, বৈদ্যুতিক কাজ, ইলেকট্রনিক্স, প্লাম্বিং, রেফ্রিজারেশন, এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রায় প্রতিটি কোর্সই চাকরি বাজারে চাহিদাপূর্ণ দক্ষতা অর্জনের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ছোট মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। কোর্সগুলোর মধ্যে কিছু হলো:

1. ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স
2. অটোমোবাইল মেকানিক্স
3. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন
4. প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং
5. রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং
6. কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন এবং গ্রাফিক ডিজাইন

 শিক্ষার মান ও পদ্ধতি:
এই প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীরা এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়, যা তাদের বাস্তব কর্মজীবনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এই কেন্দ্রটি দেশের অন্যান্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত এবং এটি সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। ফলে এখানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।

 

আরও পড়ুন- বাগেরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। 

সুবিধা ও অবকাঠামো:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। এখানে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে ওয়ার্কশপ, ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ কক্ষ, এবং কম্পিউটার ল্যাব। ল্যাবরেটরিগুলোতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংরক্ষিত রয়েছে, যা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে শিখে। তাছাড়া, প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে একটি লাইব্রেরি যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত বিষয়াবলি নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করতে পারে।

কর্মসংস্থান ও চাকরির সুযোগ:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলা। বিভিন্ন কারিগরি দক্ষতার উপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয়, জাতীয়, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। বিভিন্ন শিল্প কারখানা, নির্মাণ কোম্পানি, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়া, অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠেন। ফলে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

সরকারের ভূমিকা:
বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে, এ বিষয়ে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিও এই পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (TVET) নীতিমালা অনুসারে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যাতে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমানো যায় এবং শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করা যায়। সরকারের সহায়তায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করছে এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি যুক্ত করা এবং আরও নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করা। স্থানীয় শিল্প এবং বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তার কোর্স কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম আপডেট করছে। তাছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে।

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বিশেষ অবদান রাখছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষত তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

➤  ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhalokathi Technical Training Center, JTTC)

আপডেট সময় ০১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Jhalokathi), বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং টেকনিক্যাল শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে শিল্প, কারখানা ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী সরবরাহের লক্ষ্যে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (Technical and Vocational Education and Training – TVET) ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও ইতিহাস:
ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন শহর। এখানকার মানুষজনের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্যণীয়। এ প্রেক্ষাপটে ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলের তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝালকাঠি জেলার তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন অপরিহার্য ছিল এবং এই চিন্তাভাবনা থেকেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়।

প্রদত্ত কোর্সসমূহ:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বিভিন্ন প্রকারের প্রযুক্তিগত এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ, অটোমোবাইল মেরামত, বৈদ্যুতিক কাজ, ইলেকট্রনিক্স, প্লাম্বিং, রেফ্রিজারেশন, এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রায় প্রতিটি কোর্সই চাকরি বাজারে চাহিদাপূর্ণ দক্ষতা অর্জনের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ছোট মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। কোর্সগুলোর মধ্যে কিছু হলো:

1. ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স
2. অটোমোবাইল মেকানিক্স
3. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন
4. প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং
5. রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং
6. কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন এবং গ্রাফিক ডিজাইন

 শিক্ষার মান ও পদ্ধতি:
এই প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীরা এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়, যা তাদের বাস্তব কর্মজীবনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এই কেন্দ্রটি দেশের অন্যান্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত এবং এটি সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। ফলে এখানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।

 

আরও পড়ুন- বাগেরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। 

সুবিধা ও অবকাঠামো:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। এখানে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে ওয়ার্কশপ, ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ কক্ষ, এবং কম্পিউটার ল্যাব। ল্যাবরেটরিগুলোতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংরক্ষিত রয়েছে, যা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে শিখে। তাছাড়া, প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে একটি লাইব্রেরি যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত বিষয়াবলি নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করতে পারে।

কর্মসংস্থান ও চাকরির সুযোগ:
ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলা। বিভিন্ন কারিগরি দক্ষতার উপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয়, জাতীয়, এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। বিভিন্ন শিল্প কারখানা, নির্মাণ কোম্পানি, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়া, অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠেন। ফলে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

সরকারের ভূমিকা:
বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে, এ বিষয়ে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিও এই পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (TVET) নীতিমালা অনুসারে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যাতে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমানো যায় এবং শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করা যায়। সরকারের সহায়তায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করছে এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি যুক্ত করা এবং আরও নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করা। স্থানীয় শিল্প এবং বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তার কোর্স কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম আপডেট করছে। তাছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে।

ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বিশেষ অবদান রাখছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষত তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

➤  ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন