০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhenaidah Technical Training Center, JTTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhenaidah Technical Training Center বা JTTC),বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য JTTC কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রয়োজনীয়তা প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হচ্ছে, আর এই লক্ষ্যেই বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় যুবকদের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করা। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা মূলত বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সমস্যা মোকাবিলা এবং দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে JTTC গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম

JTTC বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিল্পক্ষেত্রের চাহিদার সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এখানে মূলত ৬ মাস থেকে ২ বছর মেয়াদী বিভিন্ন কোর্স করানো হয়। কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেনেন্স: এই কোর্সে শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করে।

2. কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন: কম্পিউটার স্কিল অর্জনের জন্য এই কোর্সটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

3. অটোমোবাইল মেকানিক্স: গাড়ির ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স, ব্রেক, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কৌশল শিখানো হয়।

4. ওয়েল্ডিং এবং ফেব্রিকেশন: এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইস্পাত এবং অন্যান্য ধাতু দিয়ে কাঠামো তৈরি এবং জোড়া লাগানোর কাজ শিখে।

5. ফ্রিজ এবং এয়ারকন্ডিশনার মেইনটেনেন্স: এতে শীতলীকরণ যন্ত্রপাতি যেমন ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারের মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ শেখানো হয়।

অবকাঠামো ও সুবিধা

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ভালো অবকাঠামো এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম দ্বারা সুসজ্জিত। এখানে একাধিক প্রশিক্ষণ ল্যাব, কর্মশালা এবং শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। ছাত্রদের জন্য একটি সুপরিকল্পিত হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, যেখানে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা থাকবার সুযোগ পায়। এছাড়াও, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, ইন্টারনেট সুবিধা, লাইব্রেরি এবং কনফারেন্স রুম।

 

আরও পড়ুন-  বাগেরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সফলতা সত্ত্বেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 

 

প্রশিক্ষকদের দক্ষতা

JTTC-তে কর্মরত প্রশিক্ষকগণ অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। তাদের বেশিরভাগই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং শিল্পক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করেন এবং তাদেরকে বাস্তব কাজের জন্য প্রস্তুত করেন। এছাড়া, প্রশিক্ষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা সর্বশেষ শিল্প প্রবণতাগুলোর সাথে মানিয়ে চলতে পারেন।

কর্মসংস্থানের সুযোগ

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকে। JTTC এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেইভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। দেশে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কারিগরি দক্ষতার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এবং JTTC এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সেই চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে।

JTTC এর প্রশিক্ষণার্থীরা মূলত বিভিন্ন কারখানা, ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। এছাড়া JTTC এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। JTTC থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থী নিজের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেছে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

 চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও JTTC ইতোমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা অতিক্রম করা প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

1. প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন: শিল্পক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে, তাই JTTC-রও আরও উন্নত প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এবং পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

2. শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি: কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য JTTC কে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে আরও ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।

3. আরও কোর্স চালু করা: বর্তমানে JTTC যে কয়টি কোর্স পরিচালনা করছে, তা ছাড়া আরও কিছু আধুনিক এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্স চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (JTTC) স্থানীয় যুব সমাজকে কর্মদক্ষ করে তুলতে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে ঝিনাইদহসহ আশেপাশের এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে JTTC-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

➤  ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhenaidah Technical Training Center, JTTC)

আপডেট সময় ০৪:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Jhenaidah Technical Training Center বা JTTC),বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য JTTC কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রয়োজনীয়তা প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হচ্ছে, আর এই লক্ষ্যেই বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় যুবকদের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করা। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা মূলত বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সমস্যা মোকাবিলা এবং দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে JTTC গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম

JTTC বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিল্পক্ষেত্রের চাহিদার সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এখানে মূলত ৬ মাস থেকে ২ বছর মেয়াদী বিভিন্ন কোর্স করানো হয়। কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেনেন্স: এই কোর্সে শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করে।

2. কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন: কম্পিউটার স্কিল অর্জনের জন্য এই কোর্সটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

3. অটোমোবাইল মেকানিক্স: গাড়ির ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স, ব্রেক, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কৌশল শিখানো হয়।

4. ওয়েল্ডিং এবং ফেব্রিকেশন: এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইস্পাত এবং অন্যান্য ধাতু দিয়ে কাঠামো তৈরি এবং জোড়া লাগানোর কাজ শিখে।

5. ফ্রিজ এবং এয়ারকন্ডিশনার মেইনটেনেন্স: এতে শীতলীকরণ যন্ত্রপাতি যেমন ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারের মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ শেখানো হয়।

অবকাঠামো ও সুবিধা

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ভালো অবকাঠামো এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম দ্বারা সুসজ্জিত। এখানে একাধিক প্রশিক্ষণ ল্যাব, কর্মশালা এবং শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। ছাত্রদের জন্য একটি সুপরিকল্পিত হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, যেখানে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা থাকবার সুযোগ পায়। এছাড়াও, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, ইন্টারনেট সুবিধা, লাইব্রেরি এবং কনফারেন্স রুম।

 

আরও পড়ুন-  বাগেরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সফলতা সত্ত্বেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 

 

প্রশিক্ষকদের দক্ষতা

JTTC-তে কর্মরত প্রশিক্ষকগণ অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। তাদের বেশিরভাগই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং শিল্পক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করেন এবং তাদেরকে বাস্তব কাজের জন্য প্রস্তুত করেন। এছাড়া, প্রশিক্ষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা সর্বশেষ শিল্প প্রবণতাগুলোর সাথে মানিয়ে চলতে পারেন।

কর্মসংস্থানের সুযোগ

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকে। JTTC এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেইভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। দেশে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কারিগরি দক্ষতার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এবং JTTC এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সেই চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে।

JTTC এর প্রশিক্ষণার্থীরা মূলত বিভিন্ন কারখানা, ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। এছাড়া JTTC এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। JTTC থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থী নিজের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেছে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

 চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও JTTC ইতোমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা অতিক্রম করা প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

1. প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন: শিল্পক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে, তাই JTTC-রও আরও উন্নত প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এবং পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

2. শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি: কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য JTTC কে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে আরও ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।

3. আরও কোর্স চালু করা: বর্তমানে JTTC যে কয়টি কোর্স পরিচালনা করছে, তা ছাড়া আরও কিছু আধুনিক এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্স চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (JTTC) স্থানীয় যুব সমাজকে কর্মদক্ষ করে তুলতে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে ঝিনাইদহসহ আশেপাশের এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে JTTC-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

➤  ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন