০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Tangail Technical Training Centre, TTTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ১০:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Tangail), বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই কেন্দ্রটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে কর্মদক্ষতা ও পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতায় পারদর্শী করে তুলতে অবদান রাখছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো মূলত বেকারত্ব দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হল কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মসংস্থান উপযোগী দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করা। কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও পেশাগত কোর্স পরিচালনা করা হয়, যা যুব সমাজকে কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শিল্প, কারখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান।

প্রশিক্ষণ সুবিধা

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা। এখানে বিদ্যমান প্রশিক্ষণ ল্যাবগুলোতে রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, যেগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি, দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, যা তাদের দক্ষতাকে উন্নত করে।

প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ট্রেনিং: বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। এখানকার প্রশিক্ষণার্থীরা ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট ডিজাইন, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে।
  • ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন:  শিল্পক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এখানে আধুনিক ওয়েল্ডিং প্রযুক্তি শেখানো হয়।
  • কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ: বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তি একটি অপরিহার্য ক্ষেত্র। কেন্দ্রটিতে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 কোর্স ও সময়কাল

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্স থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী কোর্স পর্যন্ত পড়ানো হয়। অধিকাংশ কোর্স ৩ মাস থেকে ৬ মাস মেয়াদী, যা শিক্ষার্থীদের দ্রুত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়। যেমন:

কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন:  এটি একটি সংক্ষিপ্ত কোর্স, যেখানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি শিখানো হয়।
ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স:  এই কোর্সটি ৬ মাস মেয়াদী, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রিক্যাল মেশিন ও ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ শেখে।
অটোমোবাইল মেকানিক্স:  গাড়ির ইঞ্জিন, ব্রেক, গিয়ার সিস্টেম মেরামতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বৃত্তি ও আর্থিক সুবিধা

অনেক শিক্ষার্থী যারা আর্থিকভাবে দুর্বল, তাদের জন্য এখানে বৃত্তি ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অংশ হিসেবে এসব বৃত্তি প্রদান করা হয়, যাতে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে কেউ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাছাড়া, বিদেশে কর্মসংস্থান প্রাপ্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষা প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সও প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন-  নারায়ণগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও

কর্মসংস্থান ও সুযোগ

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিশেষত্ব হলো, এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে চাকরির জন্য যোগ্য হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন সৌদি আরব, কাতার, ওমান, কুয়েত প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা অনেক। তাছাড়া, এখানকার অনেক প্রশিক্ষণার্থী নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করেন। যারা আরও উন্নত কর্মসংস্থান খুঁজছেন, তাদের জন্যও এই কেন্দ্রটি অত্যন্ত সহায়ক।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক সফলতা অর্জন করেছে, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। উন্নত মানের যন্ত্রপাতির অভাব, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষক সংকট, এবং আরও অধিকতর প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে। নতুন প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি কর্মক্ষম ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সহায়তা করে আসছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কেন্দ্রটি আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও ভালো মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে, যা তাদের কর্মজীবনে সাফল্যের পথে সহায়ক হবে।

➤  টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Tangail Technical Training Centre, TTTC)

আপডেট সময় ১০:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Tangail), বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই কেন্দ্রটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে কর্মদক্ষতা ও পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতায় পারদর্শী করে তুলতে অবদান রাখছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো মূলত বেকারত্ব দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হল কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মসংস্থান উপযোগী দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করা। কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও পেশাগত কোর্স পরিচালনা করা হয়, যা যুব সমাজকে কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শিল্প, কারখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান।

প্রশিক্ষণ সুবিধা

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা। এখানে বিদ্যমান প্রশিক্ষণ ল্যাবগুলোতে রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, যেগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি, দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, যা তাদের দক্ষতাকে উন্নত করে।

প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ট্রেনিং: বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। এখানকার প্রশিক্ষণার্থীরা ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট ডিজাইন, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে।
  • ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন:  শিল্পক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এখানে আধুনিক ওয়েল্ডিং প্রযুক্তি শেখানো হয়।
  • কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ: বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তি একটি অপরিহার্য ক্ষেত্র। কেন্দ্রটিতে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 কোর্স ও সময়কাল

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্স থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী কোর্স পর্যন্ত পড়ানো হয়। অধিকাংশ কোর্স ৩ মাস থেকে ৬ মাস মেয়াদী, যা শিক্ষার্থীদের দ্রুত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়। যেমন:

কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন:  এটি একটি সংক্ষিপ্ত কোর্স, যেখানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি শিখানো হয়।
ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স:  এই কোর্সটি ৬ মাস মেয়াদী, যেখানে শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রিক্যাল মেশিন ও ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ শেখে।
অটোমোবাইল মেকানিক্স:  গাড়ির ইঞ্জিন, ব্রেক, গিয়ার সিস্টেম মেরামতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বৃত্তি ও আর্থিক সুবিধা

অনেক শিক্ষার্থী যারা আর্থিকভাবে দুর্বল, তাদের জন্য এখানে বৃত্তি ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অংশ হিসেবে এসব বৃত্তি প্রদান করা হয়, যাতে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে কেউ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাছাড়া, বিদেশে কর্মসংস্থান প্রাপ্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষা প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সও প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন-  নারায়ণগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও

কর্মসংস্থান ও সুযোগ

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিশেষত্ব হলো, এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে চাকরির জন্য যোগ্য হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন সৌদি আরব, কাতার, ওমান, কুয়েত প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা অনেক। তাছাড়া, এখানকার অনেক প্রশিক্ষণার্থী নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করেন। যারা আরও উন্নত কর্মসংস্থান খুঁজছেন, তাদের জন্যও এই কেন্দ্রটি অত্যন্ত সহায়ক।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক সফলতা অর্জন করেছে, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। উন্নত মানের যন্ত্রপাতির অভাব, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষক সংকট, এবং আরও অধিকতর প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে। নতুন প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি কর্মক্ষম ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সহায়তা করে আসছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কেন্দ্রটি আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও ভালো মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে, যা তাদের কর্মজীবনে সাফল্যের পথে সহায়ক হবে।

➤  টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন