০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Dhaka Technical Training Centre, DTTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের আধার

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Dhaka Technical Training Center – TTC) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের যুবসমাজকে আধুনিক ও প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করছে, যা তাদের স্থানীয় ও বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম করে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তোলা। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার হ্রাস এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়। এই কেন্দ্রটি সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যাতে বিভিন্ন পেশাদার প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ ও কর্মক্ষম করা যায়। মূলত, ১৯৮০-এর দশকে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা টিটিসি স্থাপন করা হয়।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবকাঠামো অত্যন্ত আধুনিক এবং প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। এই কেন্দ্রটিতে রয়েছে:

– উন্নতমানের ক্লাসরুম,
– প্রশিক্ষণ ল্যাবরেটরি,
– আধুনিক ওয়ার্কশপ,
– লাইব্রেরি এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ একটি কম্পিউটার ল্যাব।

প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও উপকরণ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। কেন্দ্রের প্রশিক্ষকগণ দক্ষ ও অভিজ্ঞ, যারা বিভিন্ন শিল্পখাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে স্থানান্তর করছেন।

কোর্সসমূহ
ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের কারিগরি কোর্স প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে সাহায্য করে। এখানে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী উভয় ধরনের কোর্স। উদাহরণস্বরূপ:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং:

– ঢাকা টিটিসি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে। এতে ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর গভীর জ্ঞান প্রদান করা হয়। ডিপ্লোমা কোর্স সাধারণত চার বছর মেয়াদী হয় এবং এতে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক উভয় ধরনের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

2. শর্ট কোর্স:

– অনেক শিক্ষার্থী বা কর্মজীবী যারা স্বল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন শর্ট কোর্স রয়েছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, অটোমোবাইল মেকানিক্স, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং, রেফ্রিজারেশন এবং এয়ার কন্ডিশনিং ইত্যাদি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

3. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কোর্স:

– বর্তমান যুগের ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কোর্সও প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং এবং প্রোগ্রামিং। এসব কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সফটওয়্যার, ডাটাবেস এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা অর্জন করে।

আরও পড়ুন-  মানিকগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণ প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।

4. ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম:

– কেন্দ্রটি বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা মূলত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। এসব প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন নির্মাণ, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং গার্মেন্টস প্রোডাকশনের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

কর্মসংস্থান ও সাফল্যের হার

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের হার অত্যন্ত সন্তোষজনক। দেশের অভ্যন্তরে যেমন, তেমনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে। নিয়মিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং কর্মসংস্থান মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

বৈশ্বিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রযুক্তি

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন্দ্রটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আইএলও, ইউএনডিপি, এবং জাইকার মতো সংস্থাগুলো কেন্দ্রটির উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ লাভ করে, যা তাদের বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তোলে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তবে প্রতিষ্ঠানটির সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন:
– দ্রুত পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা।
– আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করা।
– স্থানীয় শিল্প খাতের সাথে আরও নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী কাজের অভিজ্ঞতা দেওয়া।

ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ সংযোজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে আরও কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা প্রদান নয়, বরং কর্মসংস্থান, আত্মকর্মসংস্থান এবং দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।

➤  ঢাকা  কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Dhaka Technical Training Centre, DTTC)

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের আধার

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Dhaka Technical Training Center – TTC) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের যুবসমাজকে আধুনিক ও প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করছে, যা তাদের স্থানীয় ও বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম করে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তোলা। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার হ্রাস এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়। এই কেন্দ্রটি সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যাতে বিভিন্ন পেশাদার প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ ও কর্মক্ষম করা যায়। মূলত, ১৯৮০-এর দশকে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা টিটিসি স্থাপন করা হয়।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবকাঠামো অত্যন্ত আধুনিক এবং প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। এই কেন্দ্রটিতে রয়েছে:

– উন্নতমানের ক্লাসরুম,
– প্রশিক্ষণ ল্যাবরেটরি,
– আধুনিক ওয়ার্কশপ,
– লাইব্রেরি এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ একটি কম্পিউটার ল্যাব।

প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও উপকরণ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। কেন্দ্রের প্রশিক্ষকগণ দক্ষ ও অভিজ্ঞ, যারা বিভিন্ন শিল্পখাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে স্থানান্তর করছেন।

কোর্সসমূহ
ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের কারিগরি কোর্স প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে সাহায্য করে। এখানে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী উভয় ধরনের কোর্স। উদাহরণস্বরূপ:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং:

– ঢাকা টিটিসি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে। এতে ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর গভীর জ্ঞান প্রদান করা হয়। ডিপ্লোমা কোর্স সাধারণত চার বছর মেয়াদী হয় এবং এতে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক উভয় ধরনের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

2. শর্ট কোর্স:

– অনেক শিক্ষার্থী বা কর্মজীবী যারা স্বল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন শর্ট কোর্স রয়েছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, অটোমোবাইল মেকানিক্স, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং, রেফ্রিজারেশন এবং এয়ার কন্ডিশনিং ইত্যাদি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

3. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কোর্স:

– বর্তমান যুগের ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কোর্সও প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং এবং প্রোগ্রামিং। এসব কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সফটওয়্যার, ডাটাবেস এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা অর্জন করে।

আরও পড়ুন-  মানিকগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণ প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।

4. ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম:

– কেন্দ্রটি বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা মূলত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। এসব প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন নির্মাণ, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং গার্মেন্টস প্রোডাকশনের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

কর্মসংস্থান ও সাফল্যের হার

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের হার অত্যন্ত সন্তোষজনক। দেশের অভ্যন্তরে যেমন, তেমনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে। নিয়মিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং কর্মসংস্থান মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

বৈশ্বিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রযুক্তি

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন্দ্রটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আইএলও, ইউএনডিপি, এবং জাইকার মতো সংস্থাগুলো কেন্দ্রটির উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ লাভ করে, যা তাদের বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তোলে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

যদিও ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তবে প্রতিষ্ঠানটির সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন:
– দ্রুত পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা।
– আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করা।
– স্থানীয় শিল্প খাতের সাথে আরও নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী কাজের অভিজ্ঞতা দেওয়া।

ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ সংযোজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে আরও কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষা প্রদান নয়, বরং কর্মসংস্থান, আত্মকর্মসংস্থান এবং দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।

➤  ঢাকা  কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন