০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( Shariatpur Technical Training Centre, STTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ১০:১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Shariatpur) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রদান করে। এই কেন্দ্রটি মূলত কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত দক্ষতার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে, এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের অন্যান্য কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্রের সাথে তাল মিলিয়ে। দেশব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্যের চাহিদা পূরণ এবং দক্ষ কর্মশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার এই কেন্দ্রগুলো প্রতিষ্ঠা করে। শরীয়তপুর জেলা একটি কৃষিভিত্তিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও, আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে এখানকার মানুষদের জীবিকার নতুন নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করা এই কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

 প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু আছে, যা যুবকদের জন্য বিভিন্ন স্তরের কাজের উপযোগী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রদান করে। এখানে মেশিনারী, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল মেকানিক্স, ওয়েল্ডিং, বিদ্যুৎকৌশল, এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিটি কোর্সই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ প্রযুক্তি ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা পায়।

প্রশিক্ষণের ধরণ ও সুবিধা

এই কেন্দ্রটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন কোর্স প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র স্থানীয় শিল্পে নয়, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারেও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর শ্রম বাজারে কাজ করার জন্য দক্ষ শ্রমিকের যে চাহিদা, তা পূরণে এই কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত কার্যকরী।

এখানে ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সফট স্কিল যেমন যোগাযোগ দক্ষতা, দলগত কাজ, এবং সময় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও অন-জব ট্রেনিংয়ের সুযোগ প্রদান করে, যা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক হয়।

আরও পড়ুন-  গাজীপুর একটি শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুসারে প্রশিক্ষণ 

প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সাফল্য

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই এখন দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন, অনেকে আবার আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কাজ করছেন। কারিগরি দক্ষতা অর্জনের ফলে তাদের আয় এবং জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। এছাড়া, অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন, যা তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

আর্থসামাজিক প্রভাব

এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে শুধুমাত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, বরং এটি এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে সক্ষম হচ্ছেন, যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়াও, এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে যাচ্ছে, কারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন।

এছাড়াও, এই কেন্দ্রে নারীদের জন্য বিশেষ কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করছে। নারীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন কারিগরি কাজ শিখে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন, যা সমাজে তাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।

 সরকারের ভূমিকা ও সহযোগিতা

বাংলাদেশ সরকার দেশের কারিগরি শিক্ষাকে আরও উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ এবং বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করে। এছাড়া, বিদেশি চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের কোর্স ও প্রশিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 ভবিষ্যত সম্ভাবনা

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ভবিষ্যত সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি প্রশিক্ষণের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ ধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এই কেন্দ্রগুলোতে আরও আধুনিক ও উন্নত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা প্রয়োজন।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী যদি এই কেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে সহযোগিতা করে, তাহলে এগুলো আরও কার্যকরভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি তরুণ প্রজন্মের আত্মনির্ভরশীলতার একটি মঞ্চ। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে কর্মক্ষম ও উৎপাদনশীল করে তুলতে এই কেন্দ্রটির অবদান অসীম। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বকে উপলব্ধি করে শরীয়তপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

➤  শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( Shariatpur Technical Training Centre, STTC)

আপডেট সময় ১০:১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Training Center, Shariatpur) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রদান করে। এই কেন্দ্রটি মূলত কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত দক্ষতার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে, এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের অন্যান্য কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্রের সাথে তাল মিলিয়ে। দেশব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্যের চাহিদা পূরণ এবং দক্ষ কর্মশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার এই কেন্দ্রগুলো প্রতিষ্ঠা করে। শরীয়তপুর জেলা একটি কৃষিভিত্তিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও, আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে এখানকার মানুষদের জীবিকার নতুন নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করা এই কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

 প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু আছে, যা যুবকদের জন্য বিভিন্ন স্তরের কাজের উপযোগী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রদান করে। এখানে মেশিনারী, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল মেকানিক্স, ওয়েল্ডিং, বিদ্যুৎকৌশল, এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিটি কোর্সই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ প্রযুক্তি ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা পায়।

প্রশিক্ষণের ধরণ ও সুবিধা

এই কেন্দ্রটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন কোর্স প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র স্থানীয় শিল্পে নয়, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারেও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর শ্রম বাজারে কাজ করার জন্য দক্ষ শ্রমিকের যে চাহিদা, তা পূরণে এই কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত কার্যকরী।

এখানে ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সফট স্কিল যেমন যোগাযোগ দক্ষতা, দলগত কাজ, এবং সময় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও অন-জব ট্রেনিংয়ের সুযোগ প্রদান করে, যা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক হয়।

আরও পড়ুন-  গাজীপুর একটি শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুসারে প্রশিক্ষণ 

প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সাফল্য

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই এখন দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন, অনেকে আবার আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কাজ করছেন। কারিগরি দক্ষতা অর্জনের ফলে তাদের আয় এবং জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। এছাড়া, অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন, যা তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

আর্থসামাজিক প্রভাব

এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে শুধুমাত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, বরং এটি এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে সক্ষম হচ্ছেন, যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়াও, এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে যাচ্ছে, কারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন।

এছাড়াও, এই কেন্দ্রে নারীদের জন্য বিশেষ কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করছে। নারীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন কারিগরি কাজ শিখে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন, যা সমাজে তাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।

 সরকারের ভূমিকা ও সহযোগিতা

বাংলাদেশ সরকার দেশের কারিগরি শিক্ষাকে আরও উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ এবং বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করে। এছাড়া, বিদেশি চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের কোর্স ও প্রশিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 ভবিষ্যত সম্ভাবনা

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ভবিষ্যত সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি প্রশিক্ষণের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ ধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এই কেন্দ্রগুলোতে আরও আধুনিক ও উন্নত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা প্রয়োজন।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী যদি এই কেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে সহযোগিতা করে, তাহলে এগুলো আরও কার্যকরভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি তরুণ প্রজন্মের আত্মনির্ভরশীলতার একটি মঞ্চ। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে কর্মক্ষম ও উৎপাদনশীল করে তুলতে এই কেন্দ্রটির অবদান অসীম। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বকে উপলব্ধি করে শরীয়তপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

➤  শরীয়তপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন