০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Sherpur Technical Training Centre, STTC)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ০৬:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (STTC) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে। TTC-গুলো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়, এবং দেশের সব অঞ্চলে প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। শেরপুর TTC তার মধ্যে একটি, যা শেরপুর জেলার জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিষ্ঠানের পটভূমি এবং লক্ষ্য

শেরপুর TTC প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। বর্তমান বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কাজের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ কর্মীতে পরিণত করতে সহায়তা করে।

শেরপুর TTC-এর প্রধান লক্ষ্য হলো, তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করা, যাতে তারা দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি, বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করছে।

কোর্স এবং প্রশিক্ষণ

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। এখানে বিভিন্ন মেয়াদী এবং বিভিন্ন স্তরের কোর্স উপলব্ধ রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ কোর্সগুলো হলো:

1. ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড:   ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা বৈদ্যুতিক কাজ যেমন ইনস্টলেশন, মেরামত, এবং রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষতা অর্জন করে। এই কোর্সটি দেশের বিদ্যুৎ খাতে চাকরির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

2. ওয়েল্ডিং ট্রেড:  আধুনিক নির্মাণ এবং কারখানার জন্য ওয়েল্ডিং কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েল্ডিং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ পায়, যা তাদের কর্মসংস্থানের জন্য উপযোগী করে তোলে।

3. ড্রাইভিং এবং গাড়ি মেরামত:  ড্রাইভিং এবং গাড়ি মেরামতের উপর দেওয়া প্রশিক্ষণটি স্থানীয় এবং বৈদেশিক শ্রমবাজারে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। শিক্ষার্থীরা এখানে গাড়ি চালানো এবং মেরামতের দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের পেশাগত জীবন গঠনে সহায়তা করে।

4. কম্পিউটার ও আইটি:  কম্পিউটার ও আইটি দক্ষতা বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। শেরপুর TTC-এ এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাইক্রোসফট অফিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মেরামত ও নেটওয়ার্কিং শেখার সুযোগ পায়।

5. মোবাইল মেরামত:  মোবাইল ফোন মেরামতের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা মোবাইল সার্ভিসিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে সক্ষম হয়। মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান, ফলে এই কোর্সটি জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন-  কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে একটি দক্ষ কর্মশক্তি

সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধা

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উন্নতমানের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাসরুমের সুবিধা প্রদান করে। প্রতিটি ট্রেডের জন্য রয়েছে বিশেষ ল্যাবরেটরি, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ পায়। এছাড়া, এখানে আছে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ প্রশিক্ষক, যারা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান প্রদানের জন্য বিভিন্ন কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। এই ধরনের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং তাদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে।

কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা

শেরপুর TTC থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পায়। বিশেষ করে, ইলেকট্রিক্যাল, ওয়েল্ডিং এবং ড্রাইভিং ট্রেডের শিক্ষার্থীরা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা ব্যাপক। TTC থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা সহজেই সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে।

এছাড়া, অনেক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ শেষে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারে। যেমন, মোবাইল ফোনের দোকান, ইলেকট্রিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, কিংবা গাড়ির গ্যারেজ। এতে করে তারা নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং অন্যদেরও কাজের সুযোগ দিতে পারে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব

শেরপুর TTC-এর মাধ্যমে সমাজের বেকার জনগোষ্ঠী কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, যা তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি তার পরিবার এবং সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। শেরপুর TTC থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা দেশে এবং বিদেশে কাজ করছে, তারা তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে এবং সমাজে উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া, বৈদেশিক শ্রমবাজারে কর্মরত ব্যক্তিদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভবিষ্যতে আরো আধুনিক প্রযুক্তি এবং ট্রেড যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুসারে প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আপডেট করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ পায় এবং বৈদেশিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশিক্ষণ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হয়ে উঠছে, যা তাদের কর্মজীবনে সাফল্যের পথ তৈরি করছে। TTC-এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে, এবং এটি বেকারত্ব সমস্যার সমাধানেও সহায়ক হয়ে উঠেছে।

➤  শেরপুর  কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Sherpur Technical Training Centre, STTC)

আপডেট সময় ০৬:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (STTC) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে। TTC-গুলো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়, এবং দেশের সব অঞ্চলে প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। শেরপুর TTC তার মধ্যে একটি, যা শেরপুর জেলার জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিষ্ঠানের পটভূমি এবং লক্ষ্য

শেরপুর TTC প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। বর্তমান বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কাজের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ কর্মীতে পরিণত করতে সহায়তা করে।

শেরপুর TTC-এর প্রধান লক্ষ্য হলো, তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করা, যাতে তারা দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি, বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করছে।

কোর্স এবং প্রশিক্ষণ

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। এখানে বিভিন্ন মেয়াদী এবং বিভিন্ন স্তরের কোর্স উপলব্ধ রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ কোর্সগুলো হলো:

1. ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড:   ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা বৈদ্যুতিক কাজ যেমন ইনস্টলেশন, মেরামত, এবং রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষতা অর্জন করে। এই কোর্সটি দেশের বিদ্যুৎ খাতে চাকরির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

2. ওয়েল্ডিং ট্রেড:  আধুনিক নির্মাণ এবং কারখানার জন্য ওয়েল্ডিং কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েল্ডিং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ পায়, যা তাদের কর্মসংস্থানের জন্য উপযোগী করে তোলে।

3. ড্রাইভিং এবং গাড়ি মেরামত:  ড্রাইভিং এবং গাড়ি মেরামতের উপর দেওয়া প্রশিক্ষণটি স্থানীয় এবং বৈদেশিক শ্রমবাজারে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। শিক্ষার্থীরা এখানে গাড়ি চালানো এবং মেরামতের দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের পেশাগত জীবন গঠনে সহায়তা করে।

4. কম্পিউটার ও আইটি:  কম্পিউটার ও আইটি দক্ষতা বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। শেরপুর TTC-এ এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাইক্রোসফট অফিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মেরামত ও নেটওয়ার্কিং শেখার সুযোগ পায়।

5. মোবাইল মেরামত:  মোবাইল ফোন মেরামতের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা মোবাইল সার্ভিসিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে সক্ষম হয়। মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান, ফলে এই কোর্সটি জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন-  কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে একটি দক্ষ কর্মশক্তি

সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধা

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উন্নতমানের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাসরুমের সুবিধা প্রদান করে। প্রতিটি ট্রেডের জন্য রয়েছে বিশেষ ল্যাবরেটরি, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ পায়। এছাড়া, এখানে আছে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ প্রশিক্ষক, যারা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান প্রদানের জন্য বিভিন্ন কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। এই ধরনের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং তাদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে।

কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা

শেরপুর TTC থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পায়। বিশেষ করে, ইলেকট্রিক্যাল, ওয়েল্ডিং এবং ড্রাইভিং ট্রেডের শিক্ষার্থীরা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা ব্যাপক। TTC থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা সহজেই সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে।

এছাড়া, অনেক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ শেষে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারে। যেমন, মোবাইল ফোনের দোকান, ইলেকট্রিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, কিংবা গাড়ির গ্যারেজ। এতে করে তারা নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং অন্যদেরও কাজের সুযোগ দিতে পারে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব

শেরপুর TTC-এর মাধ্যমে সমাজের বেকার জনগোষ্ঠী কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, যা তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি তার পরিবার এবং সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। শেরপুর TTC থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা দেশে এবং বিদেশে কাজ করছে, তারা তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে এবং সমাজে উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া, বৈদেশিক শ্রমবাজারে কর্মরত ব্যক্তিদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভবিষ্যতে আরো আধুনিক প্রযুক্তি এবং ট্রেড যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুসারে প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আপডেট করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ পায় এবং বৈদেশিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশিক্ষণ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হয়ে উঠছে, যা তাদের কর্মজীবনে সাফল্যের পথ তৈরি করছে। TTC-এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে, এবং এটি বেকারত্ব সমস্যার সমাধানেও সহায়ক হয়ে উঠেছে।

➤  শেরপুর  কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন