০৮:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Satkhira Technical Training Centre)

bdskills Team
  • আপডেট সময় ০২:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বা সাতক্ষীরা টিটিসি) , বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় যুবসমাজকে আধুনিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদার ভিত্তিতে প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে সাতক্ষীরা টিটিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 প্রতিষ্ঠার ইতিহাস:

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে। ১৯৯০-এর দশকে সরকার কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই সাতক্ষীরা টিটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার মতো অঞ্চলগুলোতে দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য। এটি স্থানীয় যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা:

সাতক্ষীরা টিটিসি একটি আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটরি, কর্মশালা এবং ক্লাসরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণমূলক সরঞ্জামাদি, যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ শিখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, এখানে একটি গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে সহায়ক।

কোর্সসমূহ:

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরণের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কোর্স পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। উল্লেখযোগ্য কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কোর্স, যা চার বছর ধরে চলে। এতে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন শাখার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

2. শর্ট কোর্স: স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ, মেকানিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ, গার্মেন্টস মেশিন অপারেশন ইত্যাদি। এই কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারে।3. **আইসিটি ভিত্তিক কোর্স**: বর্তমান সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স এখানে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

 

আরও পড়ুন- যশোর টিটিসি’র অবকাঠামো যথেষ্ট উন্নত এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামাদি রয়েছে। 

 

প্রশিক্ষণের পদ্ধতি:

সাতক্ষীরা টিটিসিতে প্রশিক্ষণের পদ্ধতি অত্যন্ত প্রায়োগিক এবং হাতে-কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরকে কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান নয়, বরং তাদের হাতে কাজ শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে। ল্যাবরেটরি ও কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মেশিন ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ শেষে শ্রমবাজারে নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

 কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন:

সাতক্ষীরা টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প, নির্মাণ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য কারিগরি খাতগুলোতে এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা ব্যাপক অবদান রাখছে। বিশেষ করে, দেশের বাইরে যারা কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য সাতক্ষীরা টিটিসির প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক মানের। দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে ওঠার মাধ্যমে তারা ভালো আয়-রোজগার করতে সক্ষম হয় এবং দেশের রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে অবদান রাখে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ:

সাতক্ষীরা টিটিসি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতাগোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে। যেমন আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) এবং জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি) এ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নে কাজ করছে। এর ফলে সাতক্ষীরা টিটিসি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সাতক্ষীরা টিটিসির অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা। বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিগত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিতভাবে আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে হবে। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এটি স্থানীয় যুবকদেরকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করছে। সাতক্ষীরা টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছে।

 

➤  যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন

পোস্টটি শেয়ার করুন

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Satkhira Technical Training Centre)

আপডেট সময় ০২:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বা সাতক্ষীরা টিটিসি) , বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় যুবসমাজকে আধুনিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদার ভিত্তিতে প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে সাতক্ষীরা টিটিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 প্রতিষ্ঠার ইতিহাস:

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে। ১৯৯০-এর দশকে সরকার কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই সাতক্ষীরা টিটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার মতো অঞ্চলগুলোতে দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য। এটি স্থানীয় যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।

অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা:

সাতক্ষীরা টিটিসি একটি আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটরি, কর্মশালা এবং ক্লাসরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণমূলক সরঞ্জামাদি, যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ শিখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, এখানে একটি গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে সহায়ক।

কোর্সসমূহ:

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিভিন্ন ধরণের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কোর্স পরিচালনা করে, যা শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। উল্লেখযোগ্য কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:

1. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কোর্স, যা চার বছর ধরে চলে। এতে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন শাখার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

2. শর্ট কোর্স: স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ, মেকানিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ, গার্মেন্টস মেশিন অপারেশন ইত্যাদি। এই কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারে।3. **আইসিটি ভিত্তিক কোর্স**: বর্তমান সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স এখানে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

 

আরও পড়ুন- যশোর টিটিসি’র অবকাঠামো যথেষ্ট উন্নত এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামাদি রয়েছে। 

 

প্রশিক্ষণের পদ্ধতি:

সাতক্ষীরা টিটিসিতে প্রশিক্ষণের পদ্ধতি অত্যন্ত প্রায়োগিক এবং হাতে-কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরকে কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান নয়, বরং তাদের হাতে কাজ শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে। ল্যাবরেটরি ও কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মেশিন ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ শেষে শ্রমবাজারে নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

 কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন:

সাতক্ষীরা টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প, নির্মাণ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য কারিগরি খাতগুলোতে এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা ব্যাপক অবদান রাখছে। বিশেষ করে, দেশের বাইরে যারা কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য সাতক্ষীরা টিটিসির প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক মানের। দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে ওঠার মাধ্যমে তারা ভালো আয়-রোজগার করতে সক্ষম হয় এবং দেশের রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে অবদান রাখে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ:

সাতক্ষীরা টিটিসি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতাগোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে। যেমন আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) এবং জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি) এ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নে কাজ করছে। এর ফলে সাতক্ষীরা টিটিসি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সাতক্ষীরা টিটিসির অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা। বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিগত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিতভাবে আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে হবে। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এটি স্থানীয় যুবকদেরকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করছে। সাতক্ষীরা টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছে।

 

➤  যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে- ক্লিক করুন