০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অ্যাগ্রফুড সেক্টর কী? What is NSDA Agro Food Sector?

bdskills Team
  • আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অ্যাগ্রফুড সেক্টর কী?

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (National Skill Development Authority – NSDA) বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন খাতের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এটি সরকার কর্তৃক গঠিত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মক্ষম জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই প্রসঙ্গে NSDA-এর অন্যতম প্রধান সেক্টর হলো অ্যাগ্রফুড সেক্টর, যা দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অ্যাগ্রফুড সেক্টর কী?
অ্যাগ্রফুড সেক্টর বলতে বোঝায় এমন একটি ক্ষেত্র যা কৃষি উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিতরণ, বিপণন এবং খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এই সেক্টরটি খাদ্য উৎপাদন, ফসলের সুষ্ঠু ব্যবহার, খাদ্য সংরক্ষণ, প্যাকেজিং, এবং বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুসংহত করে তোলে।

বাংলাদেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টরের গুরুত্ব-
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ এবং দেশের বেশিরভাগ জনগণের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং রপ্তানি এই সেক্টরের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প, যা মূলত মধ্য ও ক্ষুদ্র শিল্প দ্বারা পরিচালিত, দ্রুত সম্প্রসারণের পথে রয়েছে। এই শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সরবরাহ, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।

NSDA এর ভূমিকা- 

NSDA এর মূল ভূমিকা হলো দেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টরের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এই সেক্টরের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করা NSDA এর অন্যতম লক্ষ্য।

১. কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। এই কর্মসূচি গুলো ফসল উৎপাদন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এছাড়াও NSDA আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরির জন্য অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার সাথে সহযোগিতা করে থাকে।

২. জনশক্তি উন্নয়ন:
অ্যাগ্রফুড সেক্টরে কর্মরত লোকজনকে আধুনিক প্রযুক্তি এবং কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের নতুন চাহিদার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। NSDA প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ফিল্ড ওয়ার্কশপ, এবং অন-দ্য-জব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন করে থাকে। এর ফলে কর্মীরা দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে উচ্চতর উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।

৩. মান নিয়ন্ত্রণ ও সার্টিফিকেশন:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরে মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীদের জন্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের যোগ্যতা যাচাই এবং তাদের আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দক্ষতা নিশ্চিত করা হয়। এটি দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪. গবেষণা ও উন্নয়ন:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। গবেষণার মাধ্যমে সেক্টরের নতুন চাহিদা নির্ধারণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, এবং বৈশ্বিক মানের প্রশিক্ষণ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সেক্টরের উন্নয়ন করা হচ্ছে।

৫. উদ্যোক্তা উন্নয়ন:
NSDA নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে। এতে করে নতুন উদ্যোক্তারা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং প্রসারণ করতে সক্ষম হয়। এই উদ্দেশ্যে NSDA বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং ব্যবসায়িক পরামর্শ সেবা প্রদান করে।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর নিবন্ধিত এগ্রো-ফুড আইএসসি

 

চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: অ্যাগ্রফুড সেক্টরকে আরও উন্নত করার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কৌশল সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে না। তাই, তাদেরকে নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও, সরকারি ও বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন এবং সহযোগিতার অভাবও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়।

তবে, NSDA এর পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টর একটি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে উচ্চমানের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

NSDA এর অধীনে পরিচালিত অ্যাগ্রফুড সেক্টরের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

 

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজকমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট ও গ্রুপ থেকে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অ্যাগ্রফুড সেক্টর কী? What is NSDA Agro Food Sector?

আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (National Skill Development Authority – NSDA) বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন খাতের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এটি সরকার কর্তৃক গঠিত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মক্ষম জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই প্রসঙ্গে NSDA-এর অন্যতম প্রধান সেক্টর হলো অ্যাগ্রফুড সেক্টর, যা দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অ্যাগ্রফুড সেক্টর কী?
অ্যাগ্রফুড সেক্টর বলতে বোঝায় এমন একটি ক্ষেত্র যা কৃষি উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিতরণ, বিপণন এবং খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এই সেক্টরটি খাদ্য উৎপাদন, ফসলের সুষ্ঠু ব্যবহার, খাদ্য সংরক্ষণ, প্যাকেজিং, এবং বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুসংহত করে তোলে।

বাংলাদেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টরের গুরুত্ব-
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ এবং দেশের বেশিরভাগ জনগণের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং রপ্তানি এই সেক্টরের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প, যা মূলত মধ্য ও ক্ষুদ্র শিল্প দ্বারা পরিচালিত, দ্রুত সম্প্রসারণের পথে রয়েছে। এই শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সরবরাহ, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।

NSDA এর ভূমিকা- 

NSDA এর মূল ভূমিকা হলো দেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টরের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এই সেক্টরের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করা NSDA এর অন্যতম লক্ষ্য।

১. কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। এই কর্মসূচি গুলো ফসল উৎপাদন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এছাড়াও NSDA আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরির জন্য অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার সাথে সহযোগিতা করে থাকে।

২. জনশক্তি উন্নয়ন:
অ্যাগ্রফুড সেক্টরে কর্মরত লোকজনকে আধুনিক প্রযুক্তি এবং কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের নতুন চাহিদার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। NSDA প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ফিল্ড ওয়ার্কশপ, এবং অন-দ্য-জব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন করে থাকে। এর ফলে কর্মীরা দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে উচ্চতর উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।

৩. মান নিয়ন্ত্রণ ও সার্টিফিকেশন:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরে মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীদের জন্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের যোগ্যতা যাচাই এবং তাদের আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দক্ষতা নিশ্চিত করা হয়। এটি দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪. গবেষণা ও উন্নয়ন:
NSDA অ্যাগ্রফুড সেক্টরে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। গবেষণার মাধ্যমে সেক্টরের নতুন চাহিদা নির্ধারণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, এবং বৈশ্বিক মানের প্রশিক্ষণ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সেক্টরের উন্নয়ন করা হচ্ছে।

৫. উদ্যোক্তা উন্নয়ন:
NSDA নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে। এতে করে নতুন উদ্যোক্তারা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং প্রসারণ করতে সক্ষম হয়। এই উদ্দেশ্যে NSDA বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং ব্যবসায়িক পরামর্শ সেবা প্রদান করে।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর নিবন্ধিত এগ্রো-ফুড আইএসসি

 

চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: অ্যাগ্রফুড সেক্টরকে আরও উন্নত করার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কৌশল সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে না। তাই, তাদেরকে নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও, সরকারি ও বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন এবং সহযোগিতার অভাবও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়।

তবে, NSDA এর পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অ্যাগ্রফুড সেক্টর একটি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে উচ্চমানের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

NSDA এর অধীনে পরিচালিত অ্যাগ্রফুড সেক্টরের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

 

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজকমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট ও গ্রুপ থেকে।