০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
বর্তমানে প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে!

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

মোঃ মোসলেহ উদ্দিন দিপু
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার পদ্ধতিকে। এটি হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলো কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটাররা মূলত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ধাপে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন। যেমন-

১। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
২। এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
৩। কন্টেন্ট মার্কেটিং
৪। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম
৫। এফিলিয়েট মার্কেটিং
৬। ইমেইল মার্কেটিং
৭। ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
৮। সিপিএ মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন অথবা এর ভবিষ্যৎ কি? 

মানুষ এখন যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টারনেটে সেই পন্য সম্পর্কে জানার চেস্টা করেন এরপর পছন্দ হলে তা ক্রয় করে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে মানুষ এখন দোকানে গিয়ে কেনার চাইতে অনাইলে পণ্য বা সেবা গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে। যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই সহজেই বলা যায় এই সেক্টরের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, সেই ক্ষেত্রে আপনার উচিত হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যার মাঝে  প্রায় ২ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। দিন দিন এই সংখ্যাটি পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন নিমিষেই।

বর্তমানে অনেক মানুষ আছেন যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে। প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহের একটি অন্যতম মাধ্যম। ফলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, বর্তমানে প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে। আর ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। ৪৩% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে। বিশ্বে প্রায় ৫১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে।

আরও দেখুন- একনজরে ASSET প্রকল্প 

যেখানে দেখা যায় ৮২% ক্রেতা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিক্রেতার সাথে তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে চান এবং ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। পণ্যটি পচ্ছন্দ হলে সাথে সাথেই ঘরে বসেই অনলাইনে তা অর্ডার করেন । এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বাড়ছে।

বর্তমান বিশ্বের বাজার ব্যবস্থা দিন দিন ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। মানুষ সময় নষ্ট করে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই বাছাই করার চাইতে অনলাইনে যেকোন পণ্য সম্পর্কে সার্চ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারে। আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল।

আপনি যদি এখনই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে না তুলতে পারেন, তাহলে এই বাজার ব্যবস্থায় আপনার টিকে থাকাটা সহজ হবে না।

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজ, কমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইটগ্রুপ থেকে।

ট্যাগস :

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোঃ মোসলেহ উদ্দিন দিপু

আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর আমি মোঃ দিপু ।আমি একজন এসেসর

বর্তমানে প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে!

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার পদ্ধতিকে। এটি হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলো কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটাররা মূলত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ধাপে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন। যেমন-

১। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
২। এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
৩। কন্টেন্ট মার্কেটিং
৪। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম
৫। এফিলিয়েট মার্কেটিং
৬। ইমেইল মার্কেটিং
৭। ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
৮। সিপিএ মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন অথবা এর ভবিষ্যৎ কি? 

মানুষ এখন যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টারনেটে সেই পন্য সম্পর্কে জানার চেস্টা করেন এরপর পছন্দ হলে তা ক্রয় করে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে মানুষ এখন দোকানে গিয়ে কেনার চাইতে অনাইলে পণ্য বা সেবা গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে। যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই সহজেই বলা যায় এই সেক্টরের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, সেই ক্ষেত্রে আপনার উচিত হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যার মাঝে  প্রায় ২ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। দিন দিন এই সংখ্যাটি পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন নিমিষেই।

বর্তমানে অনেক মানুষ আছেন যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে। প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহের একটি অন্যতম মাধ্যম। ফলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, বর্তমানে প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে। আর ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। ৪৩% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে। বিশ্বে প্রায় ৫১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে।

আরও দেখুন- একনজরে ASSET প্রকল্প 

যেখানে দেখা যায় ৮২% ক্রেতা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিক্রেতার সাথে তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে চান এবং ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। পণ্যটি পচ্ছন্দ হলে সাথে সাথেই ঘরে বসেই অনলাইনে তা অর্ডার করেন । এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বাড়ছে।

বর্তমান বিশ্বের বাজার ব্যবস্থা দিন দিন ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। মানুষ সময় নষ্ট করে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই বাছাই করার চাইতে অনলাইনে যেকোন পণ্য সম্পর্কে সার্চ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারে। আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল।

আপনি যদি এখনই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে না তুলতে পারেন, তাহলে এই বাজার ব্যবস্থায় আপনার টিকে থাকাটা সহজ হবে না।

বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডজাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষতার লে্ভেল অনুযায়ী যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান করা হচ্ছে। যার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট তথ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিডিস্কিলস.ওআরজি এর ফেসবুক পেজ, কমিউনিটি গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইটগ্রুপ থেকে।